গরুর মাংস রান্নার সহজ পদ্ধতি

গরুর মাংস বাংলাদেশের ঘরোয়া খাবারের এক প্রিয় অংশ। ঈদ, দাওয়াত বা সাপ্তাহিক ভোজনের সময় এর গুরুত্ব অনেক। অনেকের মনে হয়, গরুর মাংস রান্না করা কঠিন। 

গরুর মাংস রান্নার সহজ পদ্ধতি

এই লেখায় দেখানো হবে সহজ, সাধারণ ও সুস্বাদু গরুর মাংসের রেসিপি।

সুচিপত্রঃ গরুর মাংস রান্নার সহজ পদ্ধতি

🧂গরুর মাংস রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ

গরুর মাংস রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ

গরুর মাংস রান্নায় নিরাপদ ও সুস্বাদু ফলাফলের জন্য উপকরণের মান ও পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের মধ্যে সহজে গরুর মাংস রান্না সম্ভব, তবে উপকরণ নির্বাচন ও উপযুক্ত ব্যবহার করলে স্বাদ আরও উন্নত হয়। চলুন দেখে নিই একদম প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো।

🥩 মূল উপাদান
গরুর মাংস – ১ থেকে ২ কেজি বা আপনার ইচ্ছে অনুসারে
👉 ভালো মানের হাড়সহ মাংস নিন। অতিরিক্ত চর্বি থাকলে ছেঁটে ফেলুন।

🧅 বাটা মসলা উপকরণ

পেঁয়াজ কুচি – ২ কাপ
👉 পেঁয়াজ বেশি হলে ঝোল বেশি ঘন ও আরও মজাদার হয়।

আদা বাটা – ১ টেবিল চামচ
👉 গরুর মাংসের গন্ধ কমাতে সাহায্য করে।

রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ
👉 মাংসকে দুর্দন্ত ঘ্রাণ দেয়।

লবণ – পরিমাণমতো
👉 প্রথমে কম দিন, পরে স্বাদ অনুসারে বাড়াতে পারেন।

🌶️ গুঁড়া মসলা

হলুদ গুঁড়ো – ১ চা চামচ
👉 রঙ ও সংরক্ষণের জন্য, পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর।

মরিচ গুঁড়ো – ১ চা চামচ (স্বাদ অনুযায়ী ঝাল কম বা বেশি করুন)
👉 ঝাল পছন্দ না করলে শুকনো মরিচ বাদ দিয়ে কাঁচা মরিচ দিতে পারেন।

ধনে গুঁড়ো – ১ চা চামচ
👉 মাংসের স্বাদ ও গন্ধ বাড়ায়।

জিরা গুঁড়ো – আধা চা চামচ
👉 হজমে সাহায্য করে ও স্বাদ বাড়ায়।

গরম মসলা গুঁড়ো – আধা চা চামচ
👉 রান্নার শেষের দিকে দিয়ে ঘ্রাণ বাড়ান।

আরো পড়ুনঃ সবজি না ফল কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

🌿 সুগন্ধি ও স্বাদ বাড়ানোর উপকরণ
তেজপাতা – ২টি
দারুচিনি – ২ টুকরো
এলাচ – ২টি
লবঙ্গ (পচ্ছন্দ অনুযায়ী) – ২টি
👉 রান্নার শুরুতে এগুলো তেলে দিয়ে সুগন্ধি ছড়িয়ে দিন।

🛢️ অন্যান্য
তেল – আধা কাপ বা প্রয়োজন অনুযায়ী
👉 সরিষার তেল বা সয়াবিন তেল ব্যবহার করুন।

পানি – ৩ কাপ বা প্রয়োজন মতো
👉 মাংস সেদ্ধ করার জন্য।

সাজানোর জন্য ধনেপাতা কুচি – পরিমাণমতো
👉 রান্নার শেষে দিলে সুন্দর দেখতে ও ভালো গন্ধ হয়।

🍋 কিছু ঐচ্ছিক উপকরণ
টক দই – ২ টেবিল চামচ
👉 মাংস নরম করে ও স্বাদ বাড়ায়।

চাকটা বা আমসত্ত্ব – অর্ধেক টুকরা
👉 টক স্বাদ পছন্দ হলে দিবেন।

আলু – ২টি মাঝারি আকারের
👉 আলু দিয়ে রান্না করলে স্বাদ আরও বেড়ে যায়।

✅ কিছু পরামর্শ

উপকরণ আগে থেকে কেটে নিন ও ধোয়া রাখুন। এতে রান্না সহজ হবে।
নতুন মসলা ব্যবহার করলে স্বাদ ও গন্ধ আরও বেশি হবে।
আপনি ঘরে মসলা বাটা ব্যবহার করতে পারেন। এতে স্বাদ আলাদা হয়।

🥩 গরুর মাংস রান্নার সহজ নিয়ম

গরুর মাংস রান্নার সহজ নিয়ম

গরুর মাংস রান্না এক ধরনের শিল্প। সঠিক পদ্ধতি মানলে মাংস হয় সুস্বাদু, নরম এবং গন্ধে ভরা। ভুল করলে মাংস হয় শক্ত বা স্বাদহীন। তাই কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম জানা জরুরি। আসুন জেনে নিই সেই নিয়ম।

মানসম্পন্ন মাংস বেছে নিন

প্রথম ধাপ হলো তাজা ও ভালো মানের গরুর মাংস নির্বাচন। রঙ বেশি লাল হয় এবং মসৃণ থাকে। পুরানো বা সাদা রঙের মাংস এড়িয়ে চলুন, কারণ তা ভালো হয় না।

মাংস ভালো করে ধুয়ে নিন

রান্নার আগে ঠান্ডা পানি দিয়ে গরুর মাংস ভালভাবে ধুয়ে নিন। এতে ধুলা, ময়লা ও রক্তের দাগ উঠে যায়, রান্না হয় স্বাস্থ্যসম্মত।

বড় বা ছোট টুকরো করে কাটা

মাংস কাটা এর মানে কত দ্রুত রান্না হবে। মাঝারি কাটা আদর্শ। ছোট টুকরো করলে দ্রুত রান্না হয়, বড় হলে সময় বেশি লাগে।

মশলা ও উপকরণ প্রস্তুত রাখুন

মসলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেঁয়াজ, আদা, রসুন, হলুদ, মরিচ, ধনে ও জিরা আগে থেকে কেটে বা বাটা তৈরি করে রাখুন। এতে রান্নায় সহজ হয়।

আরো পড়ুনঃ কুরবানির পশুর বৈশিষ্ট্যসমুহ ।

তেল বা ঘি ব্যবহার করুন

রান্নায় স্বাদের জন্য যথেষ্ট তেল বা ঘি ব্যবহার করুন। ঘি দিলে গন্ধ ও স্বাদ বাড়ে। তেমনি কম হলে স্বাদ কম হয়।

আগুনের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণ করুন

প্রথমে মাঝারি থেকে বেশি আঁচে কষাতে হবে। এতে স্বাদ ভাল হয়। পরে ধাক্কা কমিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে রান্না করুন, যাতে মাংস নরম হয়।

ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন

গরুর মাংসের হাঁড়ি ঢাকনা দিয়ে ঢাকুন। এতে ভাপ ধরে মাংস নরম হয়। মাঝেমধ্যে নেড়ে দিতে হবে যাতে কিছু পুড়ে না যায়।

সময় দিন

মাংস সিদ্ধ হতে অনেক সময় লাগে। ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টা রেঞ্জে দিন। টুকরোর আকার ও রান্নার পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। ধৈর্য্য ধরে রান্না করুন।

টক দই বা আমড়া দিন

মাংস নরম করতে টক দই বা আমড়া ব্যবহার করুন। রান্নার শুরুতেই বা মাঝে এগুলি দিন। মাংসের টেক্সচার বৃদ্ধি পায়।

অতিরিক্ত মশলা এড়িয়ে চলুন

মশলার পরিমাণ মাঝামাঝি রাখুন। বেশি মশলা মাংসের স্বাদ ক্ষতিগ্রস্ত করে।

রান্নার শেষের দিকে গরম মশলা ও ধনে পাতার ছড়াছড়ি

শেষে গরম মশলা ও ধনে পাতা দিন। এতে খাবার সুগন্ধি হয় ও স্বাদ বাড়ে।

পরিষ্কার ও গরম পরিবেশন

রান্না শেষে গরুর মাংস পরিষ্কার বাসনে পরিবেশন করুন। খাবার গরম থাকাতেই মজা বেশি হয়।

সংক্ষেপ

গরুর মাংস ঠিকভাবে রান্না করলে পাবেন নরম, সুস্বাদু ও অসাধারন স্বাদ। মানসম্পন্ন মাংস, সঠিক মশলা, ধৈর্য্য আর নিয়ম মেনে রান্না করুন। স্বাদ একদম অসাধারণ হবে।

🥘প্রথমে ১ কেজি গরুর মাংস ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। যদি অতিরিক্ত চর্বি থাকে, সেটি কেটে দিন। চাইলে একটু লেবুর রস দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন দুর্গন্ধ দূর করতে। পেঁয়াজ কুচি করে আলাদা করে রাখুন। আদা ও রসুন পেস্ট করে নিন। শুকনা মরিচ, হলুদ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে রাখুন।

একটি বড় পাত্রে তেল গরম করুন। এরপর তেল গরম হলে তেজপাতা, দারুচিনি ও এলাচ দিন। কিছুক্ষণ ভাজুন যতক্ষণ না গন্ধ বের হয়। এরপর পেঁয়াজ কুচি ঢেলে হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এরপর আদা-রসুনের পেস্ট ও শুকনা মসলা যোগ করুন। ভালো করে নাড়াচাড়া করে মসলা কাঁচা গন্ধ চলে যাওয়া নিশ্চিত করুন।

মাংস দিয়ে দিন এবং মসলা ভালোভাবে মিশান। তারপর ঢেকে ১৫-২০ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন। মাংস যখন তেল ছাড়তে শুরু করে, তার পরে পরিমাণমতো গরম পানি দিন। ঢেকে দিন ও ৩০-৪৫ মিনিট রান্না হওয়া পর্যন্ত বসে থাকুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন যাতে নিচে পুড়ে না যায়।

সেদ্ধ হলে গরম মসলা ও ধনেপাতা ছিটিয়ে দিন। ৫ মিনিট আরও রান্না করেন, পরে আঁচ বন্ধ করুন। যদি মাংস শক্ত হয়, তবে প্রেসার কুকার ব্যবহার করতে পারেন। বেশি ঝোল থাকলে রান্নার শেষের দিকে কিছুক্ষণ খোলা রাখুন। চাইলে টক দই বা চালতা দিয়ে নরম ও সুস্বাদু করতে পারেন।

এই রেসিপিতে তৈরি গরুর মাংস ভাত, রুটি, পরোটা বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন। স্বাদের দিক দিয়ে দারুণ হবে।

🥘১ কেজি গরুর মাংস রান্নার রেসিপি

১ কেজি গরুর মাংস রান্নার রেসিপি

১ কেজি গরুর মাংস রান্নার সহজ রেসিপি। গরুর মাংস দেশি ঘরে এক গুরুত্বপূর্ণ খাবার। সপ্তাহের যেকোনো দিন বা ঈদের দিন খুব দ্রুত ও সহজে এই মাংস রান্না করা যায়। আজ আমরা এমন একটি রেসিপি দেখব, যা খুব সহজ, দ্রুত তৈরি হয় এবং রেস্তোরাঁর স্বাদ ঘরে পাওয়া সম্ভব।

উপকরণের মধ্যে প্রথমে আছে ১ কেজি গরুর হাড্ডিসহ মাংশ, মাঝারি সাইজের টুকরা। তার সঙ্গে প্রয়োজন 

  • ২ কাপ পেঁয়াজ কুচি, 
  • ১ টেবিল চামচ আদা ও রসুন বাটা, 
  • ১ চা চামচ শুকনা মরিচ গুঁড়ো, 
  • ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, 
  • ১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো, 
  • আধা চা চামচ জিরা গুঁড়ো, 
  • আধা চা চামচ গরম মসলা গুঁড়ো। 
  • আরো থাকছে ২টি তেজপাতা, 
  • ২টি দারুচিনি, 
  • ২টি এলাচ, 
  • স্বাদমতো লবণ, 
  • আধা কাপ তেল, 
  • ৩ কাপ পানি ও 
  • সাজানোর জন্য ধনেপাতা।

প্রথম ধাপে গরুর মাংস ভালো করে ধুয়ে নেওয়া দরকার। যদি বেশি চর্বি থাকে, তা কেটে ফেলতে হবে। চাইলে লেবুর রস দিয়ে ধুয়ে দুর্গন্ধ কমায়ে নিতে পারেন। এরপর পেঁয়াজ কুচি করে রাখুন। আদা-রসুন ও মসলা মিশিয়ে রাখুন।

একটি বড় পাত্রে তেল গরম করে তেজপাতা, দারুচিনি ও এলাচ দিন। তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এখন আদা-রসুন বাটা ও শুকনা মসলা যোগ করে রান্না করুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়।

আরো পড়ুনঃ খালি পেটে ডালিম খাওয়ার উপকারিতা।

তার পর ধুয়ে রাখা মাংস দিয়ে দিন। ভালো করে মশলা মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে ১৫-২০ মিনিট কষান।

মাংস যখন তেল ছাড়তে শুরু করবে, তখন পানি দিন। পানি দেওয়ার পরে মাংস সেদ্ধ হতে চুলার আঁচ মাঝারি রাখুন। ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আস্তে আস্তে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দেখুন যাতে নিচে না লেগে যায়।

মাংস সিদ্ধ হলে গরম মসলা ও ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন। আরও ৫ মিনিট রান্না করে আগুন বন্ধ করুন।

যদি মাংস শক্ত হয়, তবে প্রেশার কুকার ব্যবহার করুন। ঝোল বেশি থাকলে হাঁড়ি খোলে রেখে ঝোল কমিয়ে নিন। টক দই বা চালতা দিলে মাংস আরও র soft হয়।

এই রেসিপি দিয়ে তৈরি মাংস ভাত, রুটি, পরোটা বা পোলাওয়ে পরিবেশন করতে পারেন। স্বাদ হবে সঙ্গে সঙ্গে মাথায় ঢুকবে।

🍛২ কেজি গরুর মাংসের সহজ রান্নার রেসিপি

২ কেজি গরুর মাংস অনেক পরিবারের জন্য সহজে রান্না সম্ভব। সঠিক উপকরণ, পরিমাণ মসলা ও পর্যাপ্ত সময় দিলে এই পরিমাণ মাংস দিয়ে বাড়িতে রেষ্টুরেন্টের মতো স্বাদে খাবার তৈরি করা যায়। আজ দেখানো হবে কিভাবে ঘরে বসে সহজে ও স্বাদে ভরা অসাধারন রান্না করা যায়।

🧾উপকরণ

  • গরুর মাংস – ২ কেজি (হাড়সহ মাঝারি টুকরো করে কাটা)
  • পেঁয়াজ কুচি – ৩ কাপ
  • আদা বাটা – ২ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা – ২ টেবিল চামচ
  • হলুদ গুঁড়ো – ১.৫ চা চামচ
  • মরিচ গুঁড়ো – ১.৫ চা চামচ
  • ধনে গুঁড়ো – ১.৫ চা চামচ
  • জিরা গুঁড়ো – ১ চা চামচ
  • গরম মসলা গুঁড়ো – ১ চা চামচ
  • তেজপাতা – ৩টি
  • দারুচিনি – ৩ টুকরা
  • এলাচ – ৩টি
  • নুন – স্বাদমতো
  • তেল – ১ কাপ
  • গরম পানি – ৫ কাপ
  • ধনেপাতা কুচি – সাজানোর জন্য
  • টক দই – ৩ টেবিল চামচ (ঐচ্ছিক)
  • আলু – ৩টি মাঝারি (ঐচ্ছিক)

🍳 রান্নার প্রণালী

প্রথমে মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। চাইলে লেবুর রস দিয়ে কচলে ক্ষতিকর গন্ধ দূর করুন।

একটি বড় হাঁড়িতে তেল গরম করুন। তাতে তেজপাতা, দারুচিনি ও এলাচ দিন। তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করুন।

পেঁয়াজ বাদামি হলে আদা রসুন বাটা ও গুঁড়ো মসলাগুলি দিন। ভালভাবে কষিয়ে নিন। মসলা কষানো সময় নিন, এটি স্বাদের জন্য প্রয়োজন।

আরো পড়ুনঃ আপেল সিডার ভিনেগার কোনটি ভালো।

মাংস দিয়ে মিশিয়ে ঢেকে ১৫–২০ মিনিট কষান। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন।

মাংস ঠাণ্ডা হলে গরম পানি দিয়ে ঢাকনা তুলে রাখুন। ১ ঘণ্টা সেদ্ধ করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে যেতে ভুলবেন না।

মাংস নরম হলে গরম মসলা ও ধনেপাতা ছিটিয়ে দিন। ৫ মিনিট রান্না করে চুলা বন্ধ করুন।

প্রশ্নে মন্তব্যে কিছু বলার দরকার নেই।

প্রেশার কুকারে রান্না করলে ৩–৪ সিটি হলে চলে। চাইলে দই বা চাল দিয়ে রান্না আরও নরম করে নিতে পারেন। আলু দিলে মাংসের সাথে কষিয়ে রান্না করুন।

🍽️পরিবেশন

এই রেসিপি অনুযায়ী ৬ থেকে ৮ জনের জন্য খাবার প্রস্তুত করা যায়। পোলাও, ভাত বা রুটি সাথে বেশ মানিয়ে যাবে।

🍛৩ কেজি গরুর মাংস রান্নার সহজ রেসিপি

গৃহস্থ বাড়িতে উৎসব বা শুক্রবারের বড় মধ্যাহ্নভোজের জন্য ৩ কেজি গরুর মাংস উপযুক্ত। সঠিক মসলা, নিখুঁত কষানো ও সময় মতো সেদ্ধ করে এই রান্না দৈনন্দিন বা বিশেষ দিন উভয়ের জন্য দারুন। চলুন দেখে নিই কিভাবে এই মাংস রান্না করবেন।

উপকরণ (৩ কেজি মাংসের জন্য):

  • গরুর মাংস (হাড্ডিসহ) – ৩ কেজি
  • পেঁয়াজ কুচি – ৫ কাপ
  • আদা বাটা – ৩ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা – ৩ টেবিল চামচ
  • টক দই – ৪ টেবিল চামচ
  • হলুদ গুঁড়ো – ১.৫ টেবিল চামচ
  • মরিচ গুঁড়ো – ২ চা চামচ
  • ধনে গুঁড়ো – ১.৫ চা চামচ
  • জিরা গুঁড়ো – ১ চা চামচ
  • গরম মসলা গুঁড়ো – ১ চা চামচ
  • তেজপাতা – ৩টি
  • দারুচিনি – ৩ টুকরা
  • এলাচ – ৩টি
  • লবণ – স্বাদ অনুযায়ী
  • তেল বা ঘি – ১.৫ কাপ
  • গরম পানি – ৭ থেকে ৮ কাপ
  • আলু (ঐচ্ছিক) – ৪টি
  • ধনেপাতা কুচি – অর্ধ কাপ
  • কাঁচা মরিচ – ৮টি

🍳 রান্নার প্রণালী:

প্রথমে মাংস ও আলু ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। অন্যান্য উপকরণ গুছিয়ে রাখেন।

এক বড় হাঁড়িতে তেল গরম করে তেজপাতা, দারুচিনি ও এলাচ দিন। তখন পেঁয়াজ কুচি দিয়ে মাঝারি আঁচে ভাজুন। যতক্ষণ না বাদামী হয়, ততক্ষণ ভাজুন।

পেঁয়াজ ভাজা হলে আদা-রসুন বাটা ও মশলা গুঁড়ো ও টক দই যোগ করুন। ৮-১০ মিনিট কষান।

এরপর গরুর মাংস দিয়ে ভালো করে মিশান। ঢাকনা দিয়ে ২৫-৩০ মিনিট মাঝারি আঁচে ভাজুন। মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া করুন যেন পুড়ে না যায়।

আরো পড়ুনঃ পাঙ্গাস মাছ খাওয়ার উপকারিতা।

মাংস থেকে তেল ছাড়ালে গরম পানি যোগ করুন। ঢেকে দিয়ে ১-১.৫ ঘণ্টা সেদ্ধ হতে দিন। আলু থাকলে মাঝমাঝি দিন।

মাংস পুরো সেদ্ধ হওয়ার পরে গরম মসলা ও কাঁচা মরিচ দিন। ওপরের দিকে ধনেপাতা ছিটিয়ে দিন। চাইলে একটু ঘি দিয়ে স্বাদ বাড়ান।

টিপস:

টক দই মাংসকে নরম করে দেয়।

ক্লে বা পিতলের হাঁড়িতে রান্না করলে স্বাদ বাড়ে।

রং গাঢ় করতে সামান্য চিনি যোগ করতে পারেন।

প্রেশার কুকার ব্যবহার করলে সময় বাঁচে।

পরিবেশন:

এই রেসিপি ১২ থেকে ১৫ জনের জন্য উপযুক্ত। এটি ভাত, খিচুড়ি, পোলাও বা পরোটা সাথে পরিবেশিত হতে পারে।

🍛৫ কেজি গরুর মাংস রান্নার সহজ রেসিপি

🧾 উপকরণ (৫ কেজি মাংসের জন্য)

  • গরুর মাংস (হাড্ডিসহ) – ৫ কেজি।
  • পেঁয়াজ কুচি – ৭ কাপ।
  • আদা বাটা – ৫ টেবিল চামচ।
  • রসুন বাটা – ৫ টেবিল চামচ।
  • টক দই – ১ কাপ (মাংস নরম করার জন্য)।
  • হলুদ গুঁড়ো – ২ টেবিল চামচ।
  • মরিচ গুঁড়ো – ২.৫ টেবিল চামচ।
  • ধনে গুঁড়ো – ২ টেবিল চামচ।
  • জিরা গুঁড়ো – ১.৫ টেবিল চামচ।
  • গরম মসলা গুঁড়ো – ১ টেবিল চামচ।
  • তেজপাতা – ৫টি।
  • দারুচিনি – ৫ টুকরা।
  • এলাচ – ৫টি।
  • লবণ – পরিমাণ মতো।
  • তেল বা ঘি – ২ কাপ।
  • গরম পানি – প্রয়োজন অনুযায়ী (সাধারণত ১০-১২ কাপ)।
  • আলু (ঐচ্ছিক) – ৬-৭টি মাঝারি।
  • ধনেপাতা কুচি – ১ কাপ।
  • কাঁচা মরিচ – ১০-১২টি (ঐচ্ছিক)।

🍳 রান্নার পদ্ধতি

🔪 প্রস্তুতি

প্রথমে গরুর মাংস পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। বড় হাঁড়িতে সব উপকরণ আলাদা করে সাজিয়ে রাখুন।

🧅 পেঁয়াজ ও মসলা ভাজা

একটি বড় হাঁড়িতে তেল বা ঘি গরম করুন। তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিয়ে ফোড়ন দিন।
পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামী করে ভাজুন।

🌶️ মসলা দিন

পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে আদা, রসুন বাটা ও টক দই দিয়ে মিশিয়ে ভাজুন।
মসলা থেকে কাঁচা গন্ধ চলে গেলে গুঁড়ো মসলা দিন (হলুদ, মরিচ, ধনে, জিরা)।
ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না গন্ধ বদলে যায়।

🥩 মাংস যোগ করুন

গরুর মাংস দিয়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রান্না করুন।
প্রেশার কুকার চালাতে পারেন। তেল ছাড়তে থাকলে কষানো শেষ।

💧পানি দিন ও রান্না করুন

মাংস কষানো হলে ১০ থেকে ১২ কাপ গরম পানি ঢালুন।
ঢেকে দিন, ১.৫ থেকে ২ ঘণ্টা সিদ্ধ করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে ডানাকাটা দূর করুন।

🌿আলু ও গরম মসলাযুক্ত অংশ

আলু দিতে চাইলে মাঝপথে টুকরো করে দিন।
শেষে গরম মসলা আর কাঁচা মরিচ দিন। উপরে ধনেপাতা ছিটিয়ে দিন।

✅ গুরুত্বপূর্ণ টিপস

বড় হাঁড়ি ব্যবহার করুন যেন রান্না সহজ হয়।
ঘি ব্যবহারে স্বাদের উন্নতি হয়, তবে শুধু তেলেও ভালো হবে।
চাল বা আমসত্ত্ব যোগ করলে স্বাদ অন্নরকম হবে।
ধৈর্য্য ধরে রান্না করুন, বেশি আঁচ দিলে মাংস শক্ত হয়ে যায়।

🍽️ পরিবেশন

৫ কেজি গরুর মাংস ২০-২৫ জনের জন্য উপযুক্ত।
খিচুড়ি, পোলাও, ভাত, রুটি কিংবা পরোটা সঙ্গে পরিবেশন করুন। অতিথিরা খুশি হবেন।

🍖৪০ কেজি গরুর মাংস রান্নার সহজ রেসিপি

বিশাল উৎসব, অতিথি আপ্যায়ন বা বড় অনুষ্ঠানে অনেক মানুষ খাওয়ানোর জন্য 40 কেজি গরুর মাংস রান্না করতে হয়। এত বড় পরিমাণ রান্নার জন্য পরিকল্পনা, উপকরণ ও ধৈর্য্য প্রয়োজন। নিচে ধাপে ধাপে 40 কেজি মাংসের রান্নার পদ্ধতি দেওয়া হলো।

🧾উপকরণ (৪০ কেজি মাংসের জন্য) 

  • গরুর মাংস (হাড়সহ) – ৪০ কেজি
  • পেঁয়াজ কুচি – ৫০ কাপ
  • আদা বাটা – ৪০ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা – ৪০ টেবিল চামচ
  • তাজা টক দই – ৮ কাপ
  • হলুদ গুঁড়ো – ১৫ টেবিল চামচ
  • মরিচ গুঁড়ো – ২০ টেবিল চামচ
  • ধনে গুঁড়ো – ১৫ টেবিল চামচ
  • জিরা গুঁড়ো – ১০ টেবিল চামচ
  • গরম মসলা গুঁড়ো – ৮ টেবিল চামচ
  • তেজপাতা – ৫০ টি
  • দারুচিনি – ৫০ টুকরা
  • এলাচ – ৫০ টি
  • লবণ – স্বাদ অনুযায়ী
  • তেল বা ঘি – ২০ কাপ
  • গরম পানি – প্রয়োজনে (প্রায় ১২০-১৪০ লিটার)
  • আলু (অপশনাল) – ৫০-৬০ টি মাঝারি
  • ধনেপাতা কুচি – ১০ কাপ
  • কাঁচা মরিচ – ৫০-৬০ টি (অপশনাল)

🍳রান্নার পদ্ধতি

প্রস্তুতি সব মাংস ভালো করে ধুয়ে বড় বড় টুকরো করে কেটে নিন। আলাদা আলাদা করে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আলু ও অন্য উপকরণ প্রস্তুত করুন।

বড় হাঁড়ি বা পাত্র নিন ৪০ কেজি মাংস রান্নার জন্য বড় বড় হাঁড়ি দরকার। না থাকলে অনেক ভাগে ভাগ করে রান্না করুন।

মসলা তেল দিয়ে ভাজুন প্রথমে তেল গরম করে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিয়ে ফোড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামী রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এরপর আদা-রসুন বাটা ও দই দিয়ে মসলা সুন্দর করে ভাজুন।

মাংস দিয়ে ভাজুন মাংস যোগ করে ভালো করে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে এক ঘণ্টা রান্না করুন। যখন তেল বেশি বের হতে শুরু করবে, বুঝবেন কষানো শেষ।

 আরো পড়ুনঃ এলার্জি জনিত খাবারের তালিকা।

পানি দিয়ে সেদ্ধ করুন গরম পানি ঢেলে দিয়ে হাঁড়ি ঢেকে দিন। দুই থেকে তিন ঘণ্টা ধীরে ধীরে রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। মাংস নরম ও পুরোপুরি সেদ্ধ হলে রান্না শেষ।

আলু ও গরম মসলা যোগ করুন আলু দিয়ে থাকলে মাঝখানে দিন। রান্না শেষে গরম মসলা ও ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন।

টিপস বড় পরিমাণ রান্নার জন্য সময় বেশি লাগবে। প্রেশার কুকার ব্যবহার করলে সময় কমবে। ঘি দিলে গন্ধ ও স্বাদ বাড়বে। মাঝপথে নেড়ে মাংস পুড়ে যেতে দেবেন না।

🍽️পরিবেশন 

৪০ কেজি গরুর মাংস ১৫০ থেকে ২০০ জনের জন্য যথেষ্ট। বড় অনুষ্ঠানে এটি উপযুক্ত। ভাত, পোলাও, পরোটা বা নানের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

🥔 আলু দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি

আলু দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি

আলু দিয়ে গরুর মাংস রান্না আমাদের বাঙালি পরিবারের খুব পছন্দের। এই মিশ্রণে স্বাদও ভালো হয় এবং পুষ্টিও বাড়ে। আলু মাংসের রস শোষণ করে রান্নাকে আরও টেস্টি, সুন্দর ও ঝরঝরে করে তোলে। শীতকালীন দিনগুলোতে এই মিশ্রণের গরুর মাংস আর আলু শরীরকে উষ্ণতা দেয়। চল দেখা যাক, সহজ কয়েক ধাপের মধ্যে কীভাবে আলু দিয়ে গরুর মাংস রান্না করবেন।

🧾 উপকরণ

  • গরুর মাংস – ১ কেজি 🥩
  • আলু – ৪-৫ টি মাঝারি আকারের 🥔
  • পেঁয়াজ – ৩ টি বড়, কুচানো 🧅
  • আদা বাটা – ২ টেবিল চামচ 🌿
  • রসুন বাটা – ২ টেবিল চামচ 🧄
  • টক দই – ২ টেবিল চামচ
  • হলুদ গুঁড়ো – ১ টেবিল চামচ
  • মরিচ গুঁড়ো – ১.৫ চা চামচ 🌶️
  • ধনে গুঁড়ো – ১ টেবিল চামচ
  • জিরা গুঁড়ো – ১ চা চামচ
  • গরম মসলা গুঁড়ো – ১ চা চামচ
  • তেজপাতা – ২-৩ টি 🍃
  • দারুচিনি – ২ ছোট টুকরা
  • এলাচ – ২ টি
  • লবণ – স্বাদ অনুযায়ী 🧂
  • তেল – ১ কাপ 🛢️
  • ধনেপাতা – সাজানোর জন্য 🌿
  • কাঁচা মরিচ – ৫-৬ টি (ঐচ্ছিক)

🍳 রান্নার পদ্ধতি

শুরু করতে প্রথমে গরুর মাংস ভালো করে ধুয়ে নিন। অতিরিক্ত চর্বি কেটে সরান। আলুগুলো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে মাঝারি টুকরো করুন। বড় হলে রান্না বেশি সময় নেবে, আলু ভেঙে যেতে পারে।

একটি বড় পাত্রে তেল ভালো করে গরম করুন। তেলে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ দিন।
তারপর কাটা পেঁয়াজ যোগ করে বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। পেঁয়াজ ভাজা হলে রান্নার স্বাদ ও রঙ বাড়বে।

অতঃপর আদা ও রসুন বাটা দিয়ে ২-৩ মিনিট kut, যতক্ষণ না তরকারি থেকে কাঁচা গন্ধ কমে।
এরপর হলুদ, মরিচ, ধনে ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে আরও ৫-৭ মিনিট কষান। এতে মশলার স্বাদ ভালোভাবে মিশে যাবে।

মাংস যোগ করে ভালো করে মশলায় মিশিয়ে নিন। মাঝারি আঁচে ২০-২৫ মিনিট ভাজুন। এতে মাংসের রং বদলাবে, স্বাদ বেড়ে যাবে। সময়ে সময়ে হাঁড়ি খুলে নেড়ে দিন যেন জ্বলে না যায়।

 এখন টক দই দিয়ে দিন। ভালো করে মিশান। দই মাংসকে নরম করে, রান্নায় টক স্বাদ দেয়।
তারপর প্রয়োজন মতো পানি দিন। সাধারণত ১ থেকে ১.৫ লিটার পানি যথেষ্ট।

হাঁড়ি ঢেকে মাঝারি আঁচে ১ থেকে ১.৫ ঘণ্টা রান্না করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে নিন। যাতে জ্বলে না যায়।

এখন আলু দিয়ে দিন। আলু খুব বেশি নরম হলে ভেঙে যেতে পারে, তাই ২০-২৫ মিনিটে বেশি রান্না করবেন না।

শেষে গরম মসলা গুঁড়ো আর ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন। ইচ্ছা হলে কাঁচা মরিচ দিতে পারেন, ঝাল হিসেবে।

✅ রান্নার টিপস

আলু মাংসের রস শোষণ করে আরও মজাদার হয়।
টক দই না থাকলে লেবুর রস বা আমড়ার রস ব্যবহার করতে পারেন।
ঘি দিলে স্বাদ উন্নত হয়।
সংযমে মশলা ব্যবহার করুন, যেন মূল স্বাদ থাকে।
ভাল মানের হাঁড়ি ব্যবহার করুন। খাবার ভালো থাকবে।

🍽️ পরিবেশন

আলু দিয়ে গরুর মাংস সাধারণত ভাত বা পরোটা সঙ্গে পরিবেশন হয়। পরিবারের জন্য সাজান বড় আয়োজনের জন্য। গরম আপ্যায়নে এর স্বাদ অনেক বেড়ে যায়।

✍️লেখকের শেষ কথা

গরুর মাংস রান্নার সহজ উপায় জানা খুবই দরকার। মানুষের জন্য সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার তৈরি করতে সঠিক রেসিপি জানা জরুরি। বাংলাদেশে গরুর মাংস অনেকেরই পছন্দ, বিশেষ করে উৎসব ও পারিবারিক মিলনে এটি অনেক জনপ্রিয়। তাই গরুর মাংসের সঠিক নিয়ম ও উপকরণ জানা দরকার।

এই আর্টিকেলে বিভিন্ন পরিমাণের গরুর মাংসের রান্নার রেসিপি, উপকরণ ও ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি, এসব তথ্য আপনার রান্নার দক্ষতা বাড়াবে।

গরুর মাংস রান্নার সময় ধৈর্য্য রাখতে হয়। মাঝে মাঝে কিছু ভুল হয়, যেমন বেশি শক্ত বা স্বাদে কম হওয়া। তবে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করলে সব কিছু সহজ হয়।

আলু দিয়ে গরুর মাংসের রেসিপি খুব জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর। আলু মাংসের স্বাদ বাড়ায় এবং রস যুক্ত করে। এই রেসিপি অনুসরণ করে সবাই সহজে সুস্বাদু খাবার তৈরি করতে পারে।

সতর্কতার সাথে গরুর মাংস রান্না করলে এটি পরিবারের খুব পছন্দের খাবার হবে। এ ছাড়া, এটি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর। তাই বাড়িতে মানসম্মত মাংস ও পরিষ্কার উপকরণ ব্যবহার করুন।

শেষ করে বলতে চাই, রান্না হলো এক ধরনের সৃজনশীল কাজ। আনন্দ নিয়ে রান্না করুন, তাহলে খাবারে স্বাদ ও ভালোবাসা থাকবে। আপনার রান্নার প্রতিটি পদ সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক হয়ে উঠুক।

গরুর মাংসের সহজ রান্না শেখা আপনাকে পরিবার ও বন্ধুদের মুখে হাসি ফোটাতে সাহায্য করবে। এখনই রান্না শুরু করুন এবং নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url