স্কিল ছাড়াই অনলাইন ইনকাম, রিভিউ লেখা ও কপি-পেস্ট কাজ করে আয় করুন সহজে
আজকের দিনে মানুষ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত থাকে। সবাই এখন অনলাইনে থাকতে পছন্দ করে এবং এর মাধ্যমে অনেক কিছু করছে। এই মানসিকতা মানুষকে অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করতে সাহায্য করছে। সহজে খুব বেশি টাকা অনলাইনে উপার্জন সম্ভব।
লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন এই অনলাইন আয়ের উপর নির্ভর করে টাকা আয় করছে। আপনি চাইলে নিজেও বিভিন্ন পদ্ধতিতে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। কি ভাবছেন? যদি হ্যাঁ বলেন, তবে এই আর্টিকেল আপনার জন্যই। এখানে আমরা অনলাইন আয়ের সম্পূর্ণ ব্যাপারগুলো আলোচনা করব। এছাড়াও, ইনকামের শীর্ষ ১০টি উপায় দেখাবো। নতুনরা হলে, এই লেখা আপনার জন্য অনেক উপকারি হবে।
পোস্ট সুচিপত্রঃ স্কিল ছাড়াই অনলাইন ইনকাম, রিভিউ লেখা ও কপি-পেস্ট কাজ করে আয় করুন সহজে
- অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর পুরো গল্প
- কিভাবে আপনি অনলাইনে আয় করতে পারেন? (How to Earn Money Online)
- অনলাইন আয় করার সেরা ১০টি উপায়
- অনলাইন থেকে আয় হয়ে বিকাশে টাকা আনা নিয়ে একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার
- অনলাইনে মোবাইল দিয়ে আয় করা কি সম্ভব
- লেখকের শেষ কথা
31অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর পুরো গল্প
আজ থেকে দশ বছর আগে যতটা কঠিন ছিল অনলাইনে টাকা আয়, এখন তা অনেক সহজ হয়ে গেছে। ধীর ধীর করে ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে চলেছে আমাদের প্রিয় দেশ। অনেক সমস্যা থাকায় সে সময় কেউ ভাবতেও পারেনি অনলাইনে টাকা আয় সম্ভব।
কিন্তু এখন সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। আজ মানুষ শুধু অনলাইনে টাকা Income করে না, অনেক পরিবার এই আয় দিয়ে জীবন চালায়। আধুনিক এই পৃথিবীতে সব কাজে এখন অনলাইনে কাজ হয়।
পুরোনো দিনগুলোতে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে সরাসরি ফর্ম নিতে হতো। এখন আপনি দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে অনলাইনে ভর্তি ফর্ম পূরণ করতে পারেন। চাকরির ক্ষেত্রেও এখন একই সংখ্যা। বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য অনলাইনে সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই কাজগুলো করতে শুধু একটা ডিজিটাল ডিভাইস দরকার।
আরো পড়ুনঃ ২০২৫ সালে TikTok ও Instagram রিলস থেকে ইনকামের সেরা ১০টি উপায় – শুরু করুন ঘরে বসেই
আমি বলতে পারব না যে প্রথম থেকে আপনি হাজার হাজার টাকা আয় করবেন। তবে ধৈর্য রাখলে, আপনি কোন একটি কাজে পারদর্শী হয়ে উঠলে মাসে বড় পরিমাণে আয় করতে পারবেন।
প্রতিদিনের জন্য এই সুযোগগুলো আরও সহজ হয়ে গেছে। এখন সবাই চাইলে অল্প সময়ে বাড়িতে থেকে সহজে ইনকাম করতে পারে।
কিভাবে আপনি অনলাইনে আয় করতে পারেন? (How to Earn Money Online)
বাংলাদেশে অনলাইন থেকে আয় করার বিষয়টি এখ���ো অনেকের কাছে নতুন, কিন্তু এটা এই পৃথিবীর নানা দেশে বহু আগে থেকেই শুরু। সত্যি বলতে, নিজের ঘর থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ খুব কম পেশায় পাওয়া যায়।
আরও বলতে হবে, অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর জন্য আপনার বিশেষ কিছু দরকার হয় না। নিজের মেধা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে খুব সহজে দ্রুত আয় করতে পারেন।
আপনি ছেলে-মেয়ে, ছাত্রী-ছাত্র বা চাকরিজীবী যাই হোন, এই সেক্টর থেকে আয় করতে পারবেন। পড়ালেখার খরচ যদি আপনি নিজে যোগাড় করতে পারেন, তাহলে সেটা মন্দ কি?
প্রতিদিন আপনি যদি ফেসবুক, ইউটিউব বা টুইটার এ বেশ সময় কাটান, তাহলে তা হারাম না। চাইলে এই সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেন। এতে করে আপনি কিছু আয় করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল বা ল্যাপটপে ঘরে বসে আয় করুন – ২০২৫ সালের সেরা ১০টি অনলাইন ইনকাম মেথড
অতএব, পড়াশোনা বা অবসর সময়ে যদি এই কাজগুলো করে, দেখবেন সময়ও চলে গেছে এবং আপনি কাজে মনোযোগ দিচ্ছেন। এতে করে সময় নষ্ট হয় না আর মনও ভালো থাকে।
আর যখন নিজেই নিজের খরচ চালাতে পারবেন, তখন মনে একটা বড় সুখের অনুভূতি কাজ করে। নিজের যোগ্যতা ও পরিশ্রমের মূল্য বুঝতে লাগবেন।
অতএব, এই কাজের জন্য দরকার শুধু একটা ডিজিটাল ডিভাইস, ইন্টারনেট সংযোগ আর কাজের আগ্রহ। কীভাবে শুরু করবেন, সেটা নিচে বিস্তারিত বলা হলো।
অনলাইন আয় করার সেরা ১০টি উপায়
সবারই ইচ্ছে হয় অনলাইনে কিছু টাকা কামানোর। এর জন্য বেশীরভাগ মানুষ চায় একটা ভালো লুকানো পথ। এখন অনেক ধরণের অনলাইন আয় এর উৎস আছে, তবে কিছু ভালো আবার কিছু খারাপ। আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের জন্য紹介 করব ১০টি সহজ, বিশ্বাসযোগ্য উপায়, যেখানে আপনি নির্ভর করে আয় করতে পারবেন। এখনকার সময়ের জন্য এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত।
ব্লগিং থেকে আয় করা যায়
এটা অনেক পুরনো পদ্ধতি হলেও এখনও খুব কার্যকর। এর মাধ্যমে আপনি মাসে ভালো অঙ্কের টাকা ইনকাম করতে পারেন। এটি যেমন এক ধরনের ডিজিটাল নিউজ পেপার, তেমনি আপনি চাইলে নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে লিখতে পারেন। যার দরকার পড়লে, সে এসে পড়ে যাবে আপনার লেখা পড়তে। এই লেখাটিও এখন একটা ব্লগ। বোঝাই যাচ্ছে, যদি আপনাকে লেখালেখি পছন্দ হয়, তাহলে এখান থেকে আয় করাও সহজ।
আপনি যে বিষয়টি জানেন বা আগ্রহের, সেটায় ব্লগিং করলে সবচেয়ে বেশি লাভ হয়। বিষয় হিসেবে নির্দিষ্ট একটি খাত বা নীচে Focus করলে আরও সুবিধা হবে। যেমন, খেলার খবর, প্রযুক্তি, আইন, রান্না, জীবনকাহিনী বা ভ্রমণ। ধরুন, ভ্রমণ করতে ভালবাসেন, তাহলে আপনি এক জায়গায় ঘুরে জেনেছেন যা, সেটি বিস্তারিত লিখে রাখতে পারেন। এভাবেই নিজের অভিজ্ঞতায় লেখা সৃষ্টি করবেন।
এখন প্রশ্ন, কোথায় লিখব? নিজের জন্য একটি ব্লগ সাইট বানানোই উত্তম। এখন তো অনেক বিনা খরচে ব্লগ সাইট তৈরি দরকার কম। তবে, অনেক মানুষ মনে করেন, বিনামূল্যের সাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা কম। তাই আমাদের পরামর্শ, কিছু টাকা খরচ করে ডোমেন কিনুন। হোস্টিং এর জন্যও কিছু টাকা দিতে বলব। এতে আপনার একটা সুন্দর ও আকর্ষণীয় সাইট তৈরি হবে। এর জন্য সবমিলিয়ে প্রায় তিন হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
এইভাবে ব্লগ শুরু করলে আপনার ব্র্যান্ডও গড়ে উঠবে। আর আয় আরও বাড়বে। চাইলে “ডট কম” ডোমেন কিনে, এক জিবি হোস্টিং ও ফ্রি থিম নিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। এর ফলে খুব সহজে নিজের ব্লগ তৈরি করা সম্ভব। মোবাইল বা কম্পিউটার দুটোই ব্যবহার করতে পারবেন। যারা মোবাইলে অনলাইন আয় ভাবছেন, তাঁদের জন্য এটা বেশ উপযোগী।
আর যদি আপনার কিছুটা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধারণা থাকে, তাহলে খুব সহজে বেশি ট্রাফিক আনতে পারবেন। ট্রাফিক বেশি হলে আয়ও অনেক বেশি হবে। এই সব বিষয় মাথায় রেখে নিজের ব্লগের উন্নতি করতে থাকুন। বেশিরভাগ সময় ব্লগের মাধ্যমে আয় খুবই সুন্দর হতে পারে। নিজেকে খুঁজে নিন, কাজ করুন, তাহলেই উপার্জন আসবে।
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করে আয়
অনলাইনে অনেক মানুষ রোজগার করে থাকেন, মুলত ফ্রিল্যান্সিং করে। বাংলাদেশে বেকারত্ব কমাতে এই খাতের বেশ প্রভাব পড়ে, এবং দক্ষ মানুষ যারা কাজ করে তারা আমাদের দেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরছে। অনেকেই জানতেন না যে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ একটা দেশ, কিন্তু আমাদের ফ্রিল্যান্সারগণ তাদের মাধ্যমে এই তথ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। তারা দেশে রেমিটেন্স আনে প্রায় মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার। এই ভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত হয়ে আপনি টাকা উপার্জনের সাথেই দেশটির সম্মানেও অংশ নিতে পারেন।
আসুন কীভাবে শুরু করবেন সেটা দেখি। মূলত, ফ্রিল্যান্সিং মানে হলো বিভিন্ন ধরনের কাজ, যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে অর্থ পাবেন। এখানে কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা দরকার হয় না, আপনি বাড়িতে বসে কাজ করতে পারেন। আপনার ক্লায়েন্ট থাকবে বিভিন্ন দেশের, সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হবে তাদের চাহিদাও।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউবে আয় করে কিভাবে।
শুরুতে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট বিষয় শেখা জরুরি। সেটা হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ছবি এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েবসাইট তৈরি, কপি রাইটিং বা কন্টেন্ট রাইটিং, লোগো ডিজাইন ইত্যাদি। একটি বা একাধিক দক্ষতা থাকলে আপনি আরও বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। শেখার পরে আপনাকে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে (যেমন- Freelancer, Upwork, Fiverr) অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। সেখানে নিজের দক্ষতার তালিকা ঢুকিয়ে দিতে হবে।
একটা খেয়াল রাখা উচিত, বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট আছে, কিন্তু ভালো মানের সত্যিকারেই কম। কাজ শুরু করার আগে সেই সাইটগুলো ভালো করে দেখে নিন। সব কিছু ঠিক মনে হলে, কাজ শুরু করুন। আপনার পূর্বের কাজের প্রমান হিসেবে একটা পোর্টফোলিও তৈরি করুন। এতে ক্লায়েন্টরা আপনাকে পছন্দ করলে কাজ দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
আর এক বিষয়, প্রথমদিকে কাজ পেতে সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি কোনও পরিচিত ফ্রিল্যান্সার থাকেন, তাদের রেফারেন্স নিতে পারেন। এর ফলে প্রথম ক্লায়েন্ট পেলে ভালো রিভিউ পাবেন। সেই রিভিউ দিয়ে আস্তে আস্তে কাজের সুযোগ আরও বাড়বে। আপনি বিভিন্ন কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন, এতে করে নতুন ক্লায়েন্ট খুঁজে পাবেন। প্রথম কাজ পেতেই বেশ কঠিন মনে হতে পারে।
ইউটিউবের মাধ্যমে আয়
বাংলাদেশের অনেক বড় ইউটিউবার আছেন, কেউ কেউ মাসে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা আয় করেন। আপনিও চাইলে নিজে ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে অর্থ উপার্জন শুরু করতে পারেন। শুরুতে ক্যামেরা লাগানোর দরকার নেই, মোবাইল দিয়ে অনেক সফল ইউটিউবারই তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। সফল হওয়ার পরে তারা দামি গেজেট ব্যবহার করেন।
অর্থাৎ, যদি আপনার কন্টেন্ট ভালো হয় এবং প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন, তবে খুব দ্রুত দর্শক পেয়ে যাবেন। তবে একটি টিপস হলো, ভিডিওর অডিও ও এডিটিং খুব মানসম্মত করতে হবে। এক হাজার সাবস্ক্রাইবার আর নির্দিষ্ট সময়ের ভিউ পাওয়ার পরে আপনি মানিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারেন। সব ঠিক থাকলে, প্রতিটি ভিডিওতে এই অপশন চালু করে আয় আরম্ভ করতে পারবেন।
এছাড়া, ইউটিউবের বাইরে স্পন্সর থেকে অর্থ কমানোর ব্যবস্থা রয়েছে। কোনও কোম্পানি যদি আপনার ভিডিওতে তার পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন দিতে চায়, তা হলে আপনাকে পেমেন্ট করবে। আপনি যদি বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য সম্মতি দেন, আপনি আরও অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
যখনই দেখবেন কোন ওয়েবসাইট বেশি টাকা চাচ্ছে বা খুব সুন্দর একটা বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে যেখানে ওয়েবসাইটে আয়ের কথা বলছে, তখন সেটা ভালো করে পরীক্ষা করুন। সত্যিই যদি মনে হয় সেটা আসল, তাহলে কাজ শুরু করুন। অন্যথায় হবে না।
ওয়েবসাইট বানিয়ে টাকা আনা
আপনার আশেপাশে হয়তো জানেন, একটা ভালো ওয়েবসাইটের দাম লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। আপনি চাইলে এমন ওয়েবসাইট বানাতে পারেন এবং সেটি চালিয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। এখন ওয়েবসাইট বানানো অনেক সহজ, যেমন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার মতো। যেকোনো মানুষ এ কাজ করতে পারে।
কিন্তু সহজে বানানো সাইটগুলো খুব বেশি চাহিদা পাওয়ার মতো হয় না। তবে যদি আপনার ওয়েবসাইটে পরিমাণ মত ট্রাফিক থাকে, তাহলে আপনার দাম ঠিক পেতে পারেন। বেশি দামে বিক্রি হওয়া ওয়েবসাইটগুলো দক্ষ ওয়েব ডিজাইনাররা তৈরি করে। তাই আপনি যদি একজন ডেভেলপার হন বা শিখতে চান ওয়েব ডিজাইন, তাহলে নিজে সুন্দর একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে অনেক কন্টেন্ট দিয়ে সেটি চালাতে পারেন। পরে সেটি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।
অন্য উপায়ে ইউটিউব থেকে বিনামূল্যে ভিডিও দেখে বা কোনো ভালো ওয়েব ডিজাইন কোর্স করে শিখতে পারেন। অনেক সময় নতুন সাইটও আপনি বিক্রি করতে পারেন যদি আপনার ক্লায়েন্ট থাকে। এই কাজের একটা ভাল দিক হলো, একবার দক্ষ হয়ে গেলে, বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজের অফার আসতে থাকবে। চাকরির জীবনেও এই কাজের অভিজ্ঞতা অনেক কাজে লাগবে।
ড্রপশিপিং দিয়ে আয়
ড্রপশিপিং অনলাইন ব্যবসার একটা সহজ উপায়, যার মাধ্যমে খুব সহজে টাকা আনা যায়। প্রথমে বুঝতে হবে ড্রপশিপিং মানে কি। উদাহরণ দিয়ে বললে বুঝতে সহজ হবে।
ধরি, আপনার এলাকার একজন কেউ একটা জিনিস তৈরি করে আর সেটা ৫০০ টাকায় বিক্রি করছে। আপনি দেখলেন বেশ বড় মার্কেটে বা অনলাইনে ওই জিনিস ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতি আমাদের দেশে আমূল হয়তো খুব বেশি। উদাহরণস্বরূপ, কৃষকরা কেজি প্রতি ৫ টাকায় সবজি কিনে, বড় বাজারে ৫০ টাকায় বিক্রি করে।
এখন আপনি নিজে একটা ই-কমার্স সাইট খুলে এই পণ্যটি বিক্রি করতে পারেন। আপনি উৎপাদনকারী থেকে ৫০০ টাকায় কিনে, ১৪০০ টাকায় বিক্রি করবেন। এতে আপনার এক পণ্য থেকে ৯০০ টাকা লাভ হবে। বা ১২০০ টাকায় বিক্রি করলে ৭০০ টাকা লাভ হবে। এটিই হলো ড্রপশিপিং।
অর্থাৎ, যদি আপনার এলাকাতেও এরকম সুযোগ থাকে, অবশ্যই সেই কাজে হাত দিন। এখানে যদি আপনি সুযোগটি কাজে লাগান, উপকৃত হবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে
বিশ্বজুড়ে এই পদ্ধতি অনেকের খুব ভালো লাভ দেয়। বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এটি খুব সহজ একটি উপায়, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এ ব্যাপারে জানে না বা বুঝতে পারে না। ফলে তারা আগ্রহ দেখায় না। আসুন, এই বিষয়টা খুব সহজ করে বোঝা যাক।
বিশ্বজুড়ে হাজারো ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো এমন যেখানে পণ্য সরবরাহ করে পুরো বিশ্বজুড়ে। এইসব সাইটের প্রতিটা ওয়েবসাইটে একটি আলাদা অংশ রয়েছে, সেটি হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে দ্রুতই সদস্য হতে পারেন। এরপর আপনাকে একটা গ্রুপ তৈরি করতে হবে, যেখানে বন্ধু বা পরিচিতরা থাকবে। এই ধরনের গ্রুপ অনেকের সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকে।
এখন আপনি ওই বড় ই-কমার্স সাইট থেকে পণ্যের বিস্তারিত লিঙ্ক কপি করে নানা গ্রুপে পাঠাবেন। যদি কেউ সেই লিঙ্কে ক্লিক করে পণ্য কিনে নেয়, আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন। এতে কোনওভাবেই পণ্যের দাম বাড়বে না। মানুষ একই দামে পণ্য কিনতে পারবে, যেমন আপনি পাঠানো লিঙ্কে দেখাচ্ছেন।
তবে এই কাজ করতে চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার। এই পদ্ধতিতে ভালো আয়ের জন্য আপনাকে একটা বেশ বড়ো কম্যুনিটি তৈরি করতে হবে। এছাড়াও, আপনি ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। এ জন্য অনেক এ্যাকটিভ ইমেইলের প্রয়োজন, যেমন হাজারটা সক্রিয় ইমেইল থাকলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এতে সহজে কঠিন পরিমাণে টাকা আয় সম্ভব।
বর্তমানে অ্যামাজন এফিলিয়েশন প্রোগ্রাম খুব প্রচলিত হয়ে উঠছে।
অনলাইনে পড়ানো (অ্যানলাইন টিচিং)
দিয়ে আয় করাও এখন বেশ জনপ্রিয়। অনেক মানুষ বাড়ি থেকে পরীক্ষা দিতে বা কোচিং করতে পারেন। এতে মাসে বড়ো পরিমাণ টাকা উপার্জন সম্ভব। কিন্তু সেইভাবে হাঁটে পায়ে বা চলতে খুব সময় এবং টাকার ক্ষতি হয়। কোচিং সেন্টার খোঁজাও অনেক কষ্টের কাজ। এখন একটা জনপ্রিয় বিষয় হচ্ছে অনলাইন শিক্ষকতা। আপনি চাইলে ঘরে বসে অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারেন। বর্তমান বিশ্বে অর্ধেকের বেশি শিক্ষকই ইন্টারনেটে পড়ান।
ভারতের মতো দেশে এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আমাদের দেশে কিছু প্ল্যাটফর্মও তৈরি হয়েছে, যেমন টেন মিনিট স্কুল। আপনি এদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারেন। প্রথমে হয়তো কিছু সমস্যা হবে, ছাত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। কিন্তু পরে অনেক সুবিধা পাবেন এখান থেকে।
ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা যায় অনলাইনে
এখনকার দিনে অনেকেরই স্মার্টফোন আছে, আর অনেকের কাছে বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরাও বিদ্যমান। আপনি চাইলে খুব সহজে এই ফোনের মাধ্যমে অনেক টাকা করতে পারেন। শুধু আপনার দরকার আকর্ষণীয় কিছু ছবি তোলা। ছবি তুলতে পারেন মোবাইল দিয়ে বা ক্যামেরা ব্যবহার করে।
এরপর চাইলে কিছু একটু এডিট করে অথবা “র” (Raw) ফাইল হিসেবে আপলোড করতে পারেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এই ছবি গুলো বিক্রি করে নগদ টাকা পেতে পারেন। এক ছবি থেকে আপনি শুরু করতে পারেন ৫০ ডলার থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত উপার্জনে।
অল্প কিছু ফটো এডিটিং জানলে অনেক সুবিধা হয়। Photoshop বা Illustrator এর মতো সফটওয়্যার দিয়ে ছবি আরও সুন্দর করতে পারেন। বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে ছবি বিক্রি করা যায়। যেমন Shutterstock, 500px, Envato—এগুলি খুবই জনপ্রিয় এবং ফটোগ্রাফারদের বেশি টাকা দেয়।
ভারত থেকে সন্দিপ মহেশ্বরীর কথা অনেকেই শুনেছেন। এখন তাকে বেশীরভাগ প্রযুক্তি ঘিরা হোটেলে দেখা যায়। তিনিই একটা উদাহরণ, যিনি ছবি তোলাকে নিজের পেশা হিসেবে নিয়েছেন।
তিনি খুবই সফল একজন মানুষ। তারও একটা নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে যেখানে দেশের বাইরে থেকে ১০০০ এর বেশি ফটোগ্রাফার কাজ করে।
আপনি সেইসব ওয়েবসাইটে ছবি বিক্রি করবেন। মানুষ বিভিন্ন ছবি কিনে নেয়। এই ছবি গুলো ব্যাবহার হয় গ্রাফিক ডিজাইনে। বইয়ের কভার, ব্যানার, ফেস্টুনে এ সব ছবি দেখা যায়।
অনলাইনে সার্ভে করে আয় করুন
অনেক কোম্পানি গ্রাহকদের মতামত নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সার্ভে করে। কিছু দেশ তো সরকারি ব্যবস্থা হিসেবে এই সার্ভেগুলো চালায়। দেশের הממשלה জানার চেষ্টা করে, দেশের নাগরিকরা কতটা সন্তুষ্ট। তবে বড় বড় কোম্পানি বেশির ভাগ অনলাইন সার্ভে করে।
অধিকাংশ সার্ভে পেইড হয়। আপনি চাইলে এই সার্ভেগুলো করে মাসে ভালো টাকা আয় করতে পারেন। বড় কোম্পানিগুলো এক সার্ভের জন্য পর্যন্ত ১০০ ডলার খরচ করে। সার্ভেগুলোর জন্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থাকে। এজন্য প্রথমে সেই সাইটে একাউন্ট খুলতে হবে। এরপর আপনার সব তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট আপডেট করুন। এরপর থেকে কাজ শুরু করতে পারবে। তবে সব সার্ভেতে আপনি যোগ্য নাও হতে পারেন। শুধু সেই সার্ভেগুলিতে অংশ নিতে পারবেন, যা আপনার তথ্যের সঙ্গে মিলবে।
অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে আয় করুন
অ্যানে পণ্য বিক্রি এখন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু বড় বড় অনলাইন বিক্রির সাইট আছে। আপনি চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
তবে ব্যবসা শুরু করতে হলে বড় স্কেলে শুরু করতে হবে। এতে অনেক সময় দিতে হবে। আর বেশি নজর দিতে হবে নানা বিষয় খেয়াল রাখতে। ছাত্রজীবনে এটা অনেক কঠিন হয়ে যায়।
তাই আপনি অনলাইন রিসেলিং দিয়ে ভালো আয় করতে পারেন। এই ব্যবসায় আপনাকে খুব বেশি কিছু করতে হবে না। আপনি শুধু একটি রিসেলিং কোম্পানিতে একাউন্ট খুলবেন। তার পর পণ্যের ছবি ও তথ্য নিয়ে নিজে একটা পেজ বানাবেন।
রিসেলিং কোম্পানি অনেক কম দামে পণ্য দেয়। আপনি বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করে লাভ করেন। বাংলাদেশে বেশ কিছু রিসেলিং কোম্পানি আছে। যেমন শপআপ (ShopUp)।
একাউন্ট খুললে পণ্য নিজে রাখতে হবে না। পণ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে সব কাজই ওই কোম্পানি করে দিবে।
অনলাইন থেকে আয় হয়ে বিকাশে টাকা আনা নিয়ে একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার
অনলাইনে মোবাইল দিয়ে আয় করা কি সম্ভব
আগে যেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, সেগুলো করতে গেলে মোবাইলের বদলে কম্পিউটার থাকাই বেটার। একথা বলছি না যে মোবাইলে কিছু করা সম্ভব নয়। অনেক বড় ইউটিউবার শুধু মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে কোটি কোটি সাবস্ক্রাইবার আর ভিউ পেয়েছেন।
আরও কিছু থাকবেন যারা মোবাইল দিয়ে ফেসবুক পেজ চালিয়ে অনলাইন ব্যবসা করেছেন। ধীরে ধীরে তাদের ব্যবসা বড় হচ্ছে। তবে সত্যি বলতে, যদি আপনি সত্যিকারভাবে ভালো আয় করতে চান, তবে অবশ্যই একটি ভালো মানের কম্পিউটার দরকার। না হলে পেশাদারভাবে কাজ করাটা বেশ কঠিন হয়ে যাবে।
লেখকের শেষ কথা
অনলাইন ইনকাম এখন খুবই জনপ্রিয় বিষয়। এটা ঘরে বসে কাজ করে উপার্জনের সহজ উপায়। অনেক যুবক নতুন কাজ খুঁজছে এই পথে। এখন থেকে অনেকেই নিজের জন্য কাজ করছে। এই ছিল আজকের আলোচনার মূল বিষয়।
দেশের অনেক মানুষ, ফ্রিল্যান্সারসহ, এখন অনলাইনে টাকা আর্দিকড়ে। বাংলাদেশে কিছু ভালো অনলাইন ইনকাম সাইট আছে, যারা ভালো করছেন এখন। একটু সময় invests করলেই আপনি এই বিষয়গুলো আরও ভালো করে জানতে পারবেন। এটাই হলো অনলাইন ইনকাম বিষয়ক ছোটখাটো রূপরেখা।
আমরা এ লেখায় শেয়ার করেছি ১০টি সেরা অনলাইন আয়ের ধরন। সাথে আরও কিছু দরকারী টিপসও জানিয়েছেন। এখন আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কোন পদ্ধতিতে কাজ করবেন।
আশা করি, আপনি এই লেখায় সব বিষয় খুব ভালোভাবেই বুঝেছেন। যদি কিছু মনে হয়, কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আর এই আর্টিকেল যদি আপনাকে কিছু সুবিধা দেয়, তখন প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করেন। আপনার অনলাইন যাত্রা শুভ হোক। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url